রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
শিবচর (মাদারীপুর)প্রতিনিধি, কালের খবর : শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী ও বন্দোরখোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। গত এক মাস ধরে ক্রমাগত ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে ইউনিয়নগুলোর আয়তন।
এই তিন ইউনিয়নই পদ্মা নদী বেষ্টিত। এর মধ্যে চরজানাজাত ইউনিয়নটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মার চরে গড়ে উঠা এক জনপদ। গত এক সপ্তাহ ধরে এ তিন ইউনিয়নের শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন।
বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। সব হারিয়ে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছে এই এলাকার মানুষ। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে এ এলাকার অধিকাংশ স্থানই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভাঙনের আগাম অবস্থা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই গাছপালা চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। বসতবাড়ি কোনমতে ভেঙে নিরাপদ স্থানে ছুটছে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষেরা।
জানা গেছে, চলতি মাসেই এ ৩ ইউনিয়নে ৪টি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে গ্রামীণফোনের টাওয়ারসহ শত শত ঘরবাড়ি, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে শিবচরের পদ্মানদী বেষ্টিত চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী ও বন্দোরখোলা ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ব্যপক নদী ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব। ভাঙন আতঙ্কে কমপক্ষে তিন শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৪টি বিদ্যালয়ের ভবন, ৫ শতাধিক ঘরবাড়িসহ চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, খাসেরহাটের অর্ধশত দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরজানাজাত ইউনিয়নের মাধ্যমিক স্কুল চরজানাজাত ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, আ. মালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদ সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দরখোলার ৭২নং নারিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়েছে ইতিমধ্যেই।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ বলেন, ‘শিবচরের চরাঞ্চলে পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙনে আক্রান্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। এনিয়ে চলতি বছর ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, ৪টি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’